• যতো লেখা

  • মাহাবুবুল হাসান নীরুর ই-গ্রন্থ 'সেরা দশ গল্প'। অসাধারণ দশটি গল্পের এক অনবদ্য উপস্থাপন। বইটি পড়তে ক্লিক করুনসেরা দশ গল্প
  • ছবি ফেলে আসা এবং চলমান সময়ের কথা বলে। ধরে রাখে সময়কে স্মৃদির ফ্রেমে। মাহাবুবুল হাসান নীরু অ্যালবামটি দেখতে ক্লিক করুনঅ্যালবাম
  • মাহাবুবুল হাসান নীরুর ই-গ্রন্থ 'হৃদয়ছোঁয়া পঁয়ত্রিশ'। দৃষ্টিনন্দন অলঙ্করণ আর মন-জমিনে দাগ কাটার মতো পঁয়ত্রিশটি ছড়া-কাব্য। বইটি পড়তে ক্লিক করুনকাছের মানুষ
  • মাহাবুবুল হাসান নীরুর খেলাধুলা বিষয়ক লেখা পড়ার জন্য ক্লিক করুনখেলা
  • মাহাবুবুল হাসান নীরুর শিশুতোষ লেখাগুলো পড়তে ক্লিক করুনশিশুতোষ রচনা
  • মাহাবুবুল হাসান নীরুর গল্প পড়তে ক্লিক করুনগল্প
  • মাহাবুবুল হাসান নীরুর ছড়া পড়তে ক্লিক করুনE-BOOK
  • এক মাসের লেখা

মন্ট্রিয়লে ঈদ-আনন্দ অনুষ্ঠান “উল্লাস”

বেঙ্গলি টাইমস রিপোর্ট

চমৎকার উৎসবমুখর পরিবেশে গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিয়লের কলেজ জ্যঁ দ্যোঁ ব্রেবফ মঞ্চে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মন্ট্রিয়লের এক জমকালো ঈদ-আনন্দ অনুষ্ঠান “উল্লাস” অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক ও কথা-সাহিত্যিক মাহাবুবুল হাসান নীরুর পরিকল্পনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানটিতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের এ সময়ের সেরা দুই সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন, আরেফিন রুমি ও  তরুণ বাউল শিল্পী জুবায়ের। এছাড়াও ছিলো আকর্ষনীয় কিছু বিষয়-বৈচিত্রের উপস্থাপন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো, মাল্টি-কালচার ফ্যাশন-শো, নৃত্য, সরাসরি দর্শকদের অংশগ্রহণে গেম-শো, প্রারম্ভে চমৎকার এক নাট্যাংশ। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মন্ট্রিয়লের দর্শকরা প্রথমবারের মতো দেখলো একই মঞ্চে তিন উপস্থাপক, এরা হলেন, মাহাবুবুল হাসান নীরু, ক্যাপ্টেন ফরিদ ও জেসমিন ফরিদ। উপস্থাপন শৈলী ছিলো চমকপ্রদ। অনুষ্ঠানটির সূচনা ঘটে মাহাবুবুল হাসান নীরুর নাট্যাংশের উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। এতে অংশ নেন মিয়া মাহমুদ আহমেদ ও নীনা মাহমুদ। এরপর নাটকীয় ঢঙ্গে উপস্থাপকত্রয়ের আবির্ভাব ঘটে মঞ্চে। মন্ট্রিয়লের মঞ্চে এ জাতীয় উপস্থাপনা এটাই প্রথম। উপস্থাপনার মাঝে একজন সমালোচক দর্শকের উপস্থিতি ছিলো একটি চমক। এ দর্শকের ভূমিকায় অভিনয় করেন এক সময়ের নাট্যশিল্পী মিসেস শাহনাজ পারভীন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় নতুনত্ব দর্শকদের বেশ আনন্দ দিয়েছে। তবে বার কয়েক সাউন্ড সিষ্টেমের বিঘ্ন ঘটায় উপস্থাপন-শৈলী অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দু’টি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিলো নৃত্য, ফ্যাশন-শো, সরাসরি দর্শকদের অংশগ্রহণে গেম-শো ইত্যাদি। মন্ট্রিয়লের স্থানীয় নৃত্যশিল্পীদের পাশাপাশি অটোয়া থেকে আগত লিপি ও এনামের নাচ দর্শকদের নজর কাড়ে। দ্বিতীয় পর্ব মাতিয়ে তোলেন তিন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন, আরেফিন রুমি ও জুবায়ের। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে সঙ্গীত পরিবেশন করতে এসে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্লাক-ডায়মন্ড বেবী নাজনীন মাতোয়ারা করে রাখেন পুরো অডিয়েন্সকে। আটটা ত্রিশ মিনিটে শুরু হয়ে টানা রাত দুটো পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে, তখনও হলরুম ছিলো দর্শকে পরিপূর্ণ-যা মন্ট্রিয়লের বাঙ্গালী কমিউনিটি আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। এ দৃষ্টিকোন থেকে সোসাইটি অব মন্ট্রিয়লের এ আয়োজনের সার্থকতা শতভাগ বলতেই হবে।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মন্ট্রিয়লে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনজন বিশেষ ব্যাক্তিকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়, এরা হলেন, এজাজ আকতার তৌফিক, ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী ও লাবলু আকন। অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি এজাজ আকতার তৌফিক বলেন, অত্যন্ত চমৎকার একটি অনুষ্ঠান আমরা মন্ট্রিয়লের দর্শকদের উপহার দিয়েছি।’ তিনি বলেন,’অনুষ্ঠানের একজন দর্শক মন্ট্রিয়ল প্রাইমারি স্কুল বোর্ডের কমিশনার মনিরুজ্জামন খোকনের মতে, এদিন এ অনুষ্ঠান ঘুমন্ত মন্ট্রিয়লকে জাগিয়ে তুলেছে।’

সুমি দে, মন্ট্রিয়ল থেকে

 

 

 

Leave a comment